শঙ্করের ডাইরি (১ম পর্ব): উদ্ধার

এই গল্পের সমস্ত চরিত্র,জায়গা সবই কাল্পনিক । বাস্তবে এই গল্পের সাথে কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তির সম্পর্ক থেকে থাকলে তা নিতান্তই কাকতালিয়।”

সিরিজ:- শঙ্করের ডাইরি

লেখক: ডি.বি.

গল্প: উদ্ধার

পূজোর ছুটিতে বাড়িতে বসেই দিন কাটছিল অভির,বি.এ প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। কিছুদিন আগে সে তার ফেসবুক পেজে একটা গোয়েন্দা গল্প পোস্ট করে, তার বন্ধুর দাদার তার গল্পটা ভালো লেগে যায় । তাই সে অভিকে অনুরোধ করে সেই গল্পটা তাদের খবরে কাগজে পাবলিশ করার জন্য । বন্ধুর দাদা হিন্দুস্তান মিডিয়া কাগজে কাজ করে । তার কথাতেই অভি তার গল্পটা তাদের কাগজে ছাপার অনুমতি দেয়। আর গল্পটা আসার সাথে সাথেই পাঠক কুলের মনে জায়গা করে নেয়।

কিন্তু এই গল্পের লেখক অভি নয়,তার দাদু শঙ্কর সাহা। অভি ছেলেবেলা থেকেই অ্যডভেঞ্চার প্রেমী,মাঝে মধ্যেই অ্যাডভেঞ্চারের সন্ধানে এদিক-সেদিক বেরিয়ে পরে। কিন্তু এই বার আর অ্যাডভেঞ্চারে যাওয়া হলোনা অভির। কারন এই করোনা মহামারীর জন্য ঘরবন্দী গোটা বিশ্ব।

দুপুরের খাওয়া শেষ করে আর পাঁচটা বাঙালীর মতোই বিছানায় শুয়ে ছিল অভি। শুয়ে শুয়ে জানালা থেকে কিছুটা দূরের পুকুর পাড়ের বট গাছটার দিকে তাকিয়ে ছিল সে। একসময় এই বটগাছের যে ঝুড়ি গুলো জলে নেমেছে, সেই ঝুড়িধরে কতো খেলেছে সে।

অনেক্ষণ শুয়ে থাকার পরে সবে তার দুচোখের পাতা বুঁজে আসছে ,এমন সময় ধপাস করে শব্দ হওয়ায় চমকে যায় অভি। নিচে গোডাউন ঘরটায় গিয়ে দেখে একটা বিড়াল তার ছেলেবেলার একটা বইয়ের গাছা নিচে ফেলেছে, সেইটারই শব্দ শোনে সে। অভি আবার ধূলোভর্তি বইয়ের গাছাটাকে যথাস্থানে তুলে দেয়। তার চোখ যায় একটা লাল ডাইরির দিকে, সে ডাইরিটা হাতে নিয়ে খুলে দেখে। ডাইরির উপরের পাতায় তার দাদু শঙ্কর সাহার নাম ও ডাইরির জন্ম তারিখ(১৯৬২) লেখা আছে।

ডাইরিটা তার দাদুর হাতেই লেখা, দাদু সেই সময়ে কোলকাতা পুলিশে চাকরি করতো। ডাইরির শুরুটা পরে অভি বুঝতে পারে, তার দাদু সাহিত্যিক হতে চেয়েছিল,কিন্তু পরিবারের চাপে তিনি পুলিশে যোগ দেন। ডাইরিটা তার ডিটেক্টিভ বন্ধু যোগেশের কেশ নিয়ে লেখা। এই ডাইরিরই একটা গল্প হিন্দুস্তান মিডিয়ায় পাবলিশ করা হয়,যদিও অভি লেখকের জায়গায় তার স্বর্গীয় দাদুর নাম নিতে ভোলেনি। এবং গল্পের শুরুতেই সে পাঠককুলকে এই ডাইরি উদ্ধারের কথা জানিয়ে দেয়।।

” বন্ধুরা কেমন লাগলো গল্পটা জানাতে ভুলবেন না “

Design a site like this with WordPress.com
Get started